গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল, আস্তিক ও নাস্তিক
১. চীনে শতকরা ৯০ ভাগই ‘নাস্তিক’: ৬৫টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল’। সমীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নাস্তিকেরও দেশ। ওই দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোয়াভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। চীনের শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সরাসরি অস্বাকার করেন, বাকি ২৯ ভাগ নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী নন বলে দাবি করেছেন।
২. সুইডেনে ৭৬ শতাংশ: স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাত্র শতকরা ৮ ভাগ মানুষ উপাসনালয়ে গিয়ে ধর্ম চর্চা করেন। তবে গ্যালাপের সমীক্ষা অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৬ ভাগ সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে মনে করেন না।
৩. চেক প্রজাতন্ত্রে সামান্য কম: ‘ নাস্তিক’ চেক প্রজাতন্ত্রেও কিন্তু কম নেই। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০ ভাগ মানুষ নিজেদের সরাসরিই ‘নাস্তিক’ বলেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ধর্মবিশ্বাস আছে কিনা, তা ১২ শতাংশ ঘুষ দিয়েছেন, যারা পিরিয় গিয়ে প্রাণি বরেণ। প্যালাদের সমীক্ষা জানাচ্ছে, সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশ এক হিসেবে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষই নাস্তিক, কেননা তারা ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার গুরুত্ব স্বীকার করেন না।
৪. রিটেনে ৬৬ শতাংশ: সমীক্ষায় অংশ নেয়া ব্রিটেনের শতকরা ৫৩ জন মানুষ বলেছেন যে, তাদের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই। আর ১৩ ভাগ সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি নাস্তিক’।
৫. হংকংয়ে শতকরা ৬২ ভাগ: বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৬৪ হাজার মানুষের মাঝে এই সমীক্ষা চালিয়েছে গ্যালাপ। হংকংয়ের মানুষদের সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে এই সমীক্ষা থেকে। দেখা গিয়েছে, হংকংয়ের শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নাস্তিক। বাকি ৫৭ ভাগের মধ্যে ১৯ ভাগকেও আস্তিক অন্তত মনে হয়নি।
৬. জার্মানিতে ৫৯ ভাগ: জার্মানির ৫৯ ভাগ মানুষকেই নাস্তিক হিসেবে দেখিয়েছে গ্যালাপ। ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের নাগরিকদেরও বড় একটা অংশই নাস্তিক। বিশ্বের যেসব দেশে অনেক ‘আস্তিক’, সেসব দেশ থেকে অনেক মানুষই এসব নাস্তিক দেশে এসে উন্নত জীবনের সন্ধান পেয়েছেন, পাচ্ছেন। ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই এখনো নাস্তিকরাই সংখ্যাগুরু। তবে সংখ্যালঘু আস্তিকদের ধর্ম চর্চায় তাতে কোনো সমস্যা হয় না।
৭. জাপানে শতকরা ৬২ ভাগ : বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৬৪ হাজার মানুষের মাঝে এই সমীক্ষা চালিয়েছে গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল ।
@গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল,