নিজের উপার্জনের ৯০ শতাংশই দান করেন—এই মানুষটিই আমার চোখে সত্যিকারের নায়ক।
বলিউডে তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা, কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি এক নিঃস্বার্থ মানবদরদী। তিনি নানা পাটেকর—যিনি নিঃশব্দে, প্রচারের আলো ফেলে রেখে, মানুষের পাশে দাঁড়ান।
ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি চাইলে বিলাসী জীবন বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি এখনো থাকেন ছোট্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে, মায়ের সঙ্গে। রাজকীয় জীবন নয়—তিনি বেছে নিয়েছেন সাধারণ, মানুষের জীবন।
অনেক সময় নিজেই যান কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে। এই বিনয়, এই সরলতা আজকের যুগে এক বিরল গুণ।
রাজ কাপুর অ্যাওয়ার্ডে পাওয়া ১০ লাখ রুপি তিনি নিজে রেখে দেননি। পুরো অর্থটাই ব্যয় করেন মহারাষ্ট্রের খরায় জর্জরিত অসহায় মানুষের কল্যাণে। মারাঠওয়াডা এলাকায় আত্মহত্যা করা ৬২ জন কৃষকের পরিবারকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার রুপি করে সহায়তা দেন। শুধু আর্থিক সাহায্য নয়—তিনি নিজে গিয়ে দেখা করেন, সান্ত্বনা দেন, চেক তুলে দেন বিধবা স্ত্রীদের হাতে।
দরিদ্র কৃষকদের উন্নয়নের জন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সংস্থা, যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২২ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছেন। এই অর্থ ব্যয় হচ্ছে শুকিয়ে যাওয়া জলাধারে পানি এনে, দরিদ্র পরিবারগুলোর জীবনে একটু স্বস্তি ফেরাতে।
এই মানুষটির গল্প আমাদের শেখায়—নায়ক শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও হতে পারে।
নানা পাটেকর—আপনি শুধুই একজন অভিনেতা নন, আপনি আমাদের বিবেকের আয়না।
আপনার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আর কৃতজ্ঞতা জানাই হৃদয়ের গভীর থেকে।
ভালো থাকবেন, মানুষটা। আপনি সত্যিই আলাদা।
@সংগৃহীত
