নিদর্শন দিচ্ছি, সেকালের একটি তথাকথিত রণনীতির বই থেকে। শত্রুসৈন্য যদি চার দিক থেকে ঘিরে দাঁড়ায় তখন কি কর্ত্তব্য সে সম্বন্ধে বইটিতে অনেক রকম বিধান আছে। তার মধ্যে একটি বলছি। শ্মশানের ছাই কয়েকটি বিশেষ বিশেষ গাছের ছাল ও মূলের সঙ্গে বেটে তুর্য্যের গায়ে ভালো করে মাখিয়ে এই মন্ত্র পড়ে বাজাতে হবে,
ওং অং হং হলিয়া হে মহেলি বিহঞ্জহি সাহিণেহি মশাণেহি খাহি লুঞ্চহি কিলি কিলি কালি হুং ফট্ স্বাহা।
আর শ্বেত অপরাজিতার মূল ধূতুরা-পাতার রসে বেটে নিজের কপালে তিলক এঁকে সর্ব্বজ্ঞোদয় মন্ত্র জপ করতে হবে। তা হ’লে সেই তুর্য্যের শব্দ শুনে “ভবতি পরচক্রভঙ্গঃ স্বসৈন্যবিজয়ঃ”।
( যুদ্ধ । মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
অধ্যাপক সুকুমার সেনের ‘মধ্যযুগের বাংলা ও বাঙালি’ থেকে)
–অধ্যাপক দীপক নাগ।