— সুকান্ত ভট্টাচার্য
একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেলো
বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে
ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়-
আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে।
আশ্রয় যদিও মিললো,
উপযুক্ত আহার মিললো না।
সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে
গলা ফাটালাে সেই মোরগ,
ভোর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত—
তবুও সহানুভূতি জানালো না সেই বিরাট শক্ত ইমারত।
তারপর শুরু হলো তার আঁস্তাকুড়ে আনাগােনা:
আশ্চর্য। সেখানে প্রতিদিন মিলতে লাগলো
ফেলে দেওয়া ভাত-রুটির চমৎকার প্রচুর খাবার।
তারপর এক সময় আঁস্তাকুড়েও এলো অংশীদার
ময়লা ছেঁড়া ন্যাকড়া পরা দু’তিনটে মানুষ;
কাজেই দুর্বলতর মোরগের খাবার গেলো বন্ধ হয়ে।
খাবার! খাবার! খানিকটা খাবার।
অসহায় মোরগ খাবারের সন্ধানে
বারবার চেষ্টা করলো প্রাসাদে ঢুকতে,
প্রত্যেকবারই তাড়া খেলে প্রচণ্ড।
ছোট্ট মোরগ ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দেখে—
প্রাসাদের ভেতর রাশি রাশি খাবারের।
তারপর সত্যিই সে একদিন প্রাসাদে ঢুকতে পেলো,
একেবারে সােজা চ’লে এলো
ধপধপে সাদা দামী কাপড়ে ঢাকা খাবার টেবিলে,
অবশ্য খাবার খেতে নয়—
খাবার হিসেবে॥
1 Comment
প্রশংসনীয় উদ্যোগ । সাফল্য কামনা করি ।